শিরোনাম: বাংলাদেশ ইয়ারপোর্টে মোবাইল ফোন আনার নতুন নিয়ম: কী জানতে হবে?

শিরোনাম: বাংলাদেশ ইয়ারপোর্টে মোবাইল ফোন আনার নতুন নিয়ম: কী জানতে হবে?

শিরোনাম: বাংলাদেশ ইয়ারপোর্টে মোবাইল ফোন আনার নতুন নিয়ম: কী জানতে হবে?

 প্রকাশের তারিখ: ১৬ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশের বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য মোবাইল ফোন আনার বিষয়ে নতুন নিয়ম চালু হয়েছে। এখন থেকে একজন যাত্রী নির্দিষ্ট পরিমাণ মোবাইল ফোন আনতে পারবেন, যার ওপর নির্ভর করবে কর ও শুল্ক নীতি।

 নতুন নিয়ম অনুযায়ী মোবাইল ফোন আনার সীমা: প্রবাসী ও ভ্রমণকারীদের জন্য মোবাইল ফোন আনার নিয়মে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।

সিভিল এভিয়েশন অথরিটি এবং কাস্টমস বিভাগ জানিয়েছে —

ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য: প্রত্যেক যাত্রী বছরে ১টি মোবাইল ফোন শুল্কমুক্তভাবে আনতে পারবেন।

অতিরিক্ত মোবাইল ফোন: শুল্কমুক্ত মোবাইলের বাইরে সর্বোচ্চ ৪টি মোবাইল ফোন আনতে পারবেন, তবে সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট হারে শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে: যদি কোনো যাত্রী ব্যক্তিগত ব্যবহারের চেয়ে বেশি মোবাইল আনতে চান, তবে তা ব্যবসায়িক আমদানির আওতায় পড়বে এবং এজন্য আমদানি নীতিমালার বিধি মেনে চলতে হবে।

 শুল্ক হার ও কর:

 শুল্কহার নির্ধারণ করা হয়েছে মোবাইল ফোনের মডেল ও বাজারমূল্যের ওপর ভিত্তি করে। গড়ে প্রতিটি অতিরিক্ত মোবাইলে প্রায় ১৫% থেকে ৩০% হারে শুল্ক আরোপ করা হবে।

কেন এই নতুন নিয়ম? কাস্টমস বিভাগের মতে, অতিরিক্ত মোবাইল ফোন আমদানি নিয়ন্ত্রণ ও অবৈধভাবে ব্যবসার উদ্দেশ্যে ফোন আনার প্রবণতা রোধ করতেই এই নিয়ম করা হয়েছে। পাশাপাশি, সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যও রয়েছে।

বিশেষ নির্দেশনা: যাত্রীদের বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে মোবাইল ফোনগুলো ঘোষণা দিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কর পরিশোধ করতে হবে। বিস্তারিত জানতে ভ্রমণের আগে কাস্টমস হেল্পডেস্কে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

শেষ কথা: নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে একজন যাত্রী মোট ৫টি মোবাইল ফোন আনতে পারবেন, যার মধ্যে ১টি শুল্কমুক্ত এবং বাকি ৪টি শুল্কপ্রযোজ্য। আপনি যদি বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসার পরিকল্পনা করেন এবং মোবাইল ফোন আনতে চান, তাহলে এসব নিয়ম জেনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।